পুরুষার্থ থেকে ব্যক্তির প্রারব্ধ জানা যায় । প্রারব্ধ ব্যক্তির অনুকুল না প্রতিকুল , অনুকুল থাকলে সফলতা আর প্রতিকুল থাকলে বিফলতা । যা ভাগ্যে তা হবেই । কেউ তোমাকে সাহায্য এই ভ্রমে কে মুছে ফেল । যদি কেউ করে তা করবে তোমার কর্ম আর বিশ্বাস । মানব শরীর পেয়ে মানব ধর্ম অনুসারে কর্ম না করলে পরের জন্মে কর্ম সিদ্ধান্ত অনুসারে পশু কর্ম করলে পশু যোনি তে জন্ম হবে এতে কোন সন্দেহ নেই । জীবন এক সংগ্রাম এখানে চাওয়া দুর্বলতা কিন্তু বিশ্বাস এক শক্তি । বৈভব পেতে চাও তো দারিদ্রতার কথা চিন্তা কর না । সুখ পেতে চাও দুঃখ এর চিন্তা কর না ।
গাও রে মন তুমি প্রভুর নাম , পরের নিশ্বাস আসবে কিনা পরের ক্ষনে তুমি জান না ।নিজের জীবন সবাই করে সুখের অভিলাষ কিন্তু কেউ পড়তে পারে না ভাগ্যের ভাষা । যা মিলেছে তাই কর্মের ফল । জন্ম মৃত্যুর খেলা কেউ বুঝতে পারে না । কে কোথা থেকে আসবে আর কোথায় যাবে । পৃথিবী তে এসে সবাই ভুলে যায় । ঈশ্বর পথে চল এটাই সত্য ।
যেখানে কোন ত্রুটি সেখানে জানবে সেটা লোক দেখানো । মানুষের জীবনে যা ঘটে তা তার প্রারব্ধ অনুসারে ঘটে । অতএব তাকে ভোগ কর । ভগবানের সামনে অভিমান কর না , এতেই তোমার কল্যাণ এটা অনুভব কর এবং সাক্ষী ভাবে থাক । সাফল্য ব্যর্থতা আমাদের হাতে নেই । পাপ পুন্যে ফল ঈশ্বর দেয় তাই আমরা পাই । তোমার সুকর্ম কুকর্ম তোমার ভবিসৎ এর প্রারব্ধ নির্মাণ করে ।
এটাই তো জীবন