গরুড় বলিলেন দেবাদিদেব ভগবান প্রিয় হনুমান জী কে যেমনভাবে ধ্যান পুজা করেছিলেন সেটাই আমি নিবেদন করছি , সাবধান পূর্বক শুন । মহাভয়ঙ্কর পাঁচ মুখ তথা পনেরো চোখবালা ভক্তের সমস্ত অভীষ্ট পূর্ণ করতে সক্ষম দশ বাহু যুক্ত পঞ্চ বক্ত্র হনুমানের স্বরুপ । যাতে পূর্ব দিকে মুখবালা কোটি সূর্যের সমান কান্তি এবং ভয়ঙ্কর দাঁত যুক্ত তথা ক্রোধ ভ্রুকুটি দৃষ্টি বালা বানর নামের মুখ আর তার দক্ষিন দিকেমুখের নাম নরসিংহ যে ভয় বিনাশক , অত্যন্ত তেজস্বী শরীর যুক্ত ভয়ঙ্কর তথা মহাঅদ্ভুত । মহাবলবান সর্পের শান্ত করার ক্ষমতাশালি বিষ ভুতাদি নষ্ট করার ক্ষমতাশালি টেরে মুখবালা হনুমান জীর পশ্চিমমুখের নাম গরুড়মুখ । উত্তর দিশার দিকে মুখ নাম সৌকার যে আকাশের মত নীল বর্ণ । তথা পাতাল সিংহ বেতাল আর জ্বরদি রোগ নষ্ট করে । ভয়ঙ্কর দানব দের নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে তথা মহাবল তারকাসুর কে যে মুখ বধ করেছিল বিপ্রশ্রেষ্ঠ । এই হনুমানজী নাম হয়ানন । যে সাধক এই রুদ্ররুপ দয়াসাগর পঞ্চ মুখ হনুমান ধ্যান করে আর শরণাগত হয় তার সমস্ত শ্ত্রু কে শেষ করে দেয় । খড়গ , খট্বাঙ্গ , পাশ অঙ্কুশ , পর্বত মুষ্টি ,কৌমৌদকি , গদা , বৃক্ষ ,তথা কমনডুল , ভিন্দিপাল, অস্ত্র ধারন কর্তা , দশ জ্ঞান মুদ্রাধারন প্রদর্শনকারি , সমস্ত আভরণধারি সুশোভিত , প্রেতাসনে বসে , দিব্যমালা এবং দিব্য গন্ধধারী চারদিকে মুখবালা আশ্চর্যকারি হনুমান কে ধ্যান করি । বিচিত্র বর্ণ চন্দ্র দ্বারা সুশোভিত মস্তকবালা কবি শ্রেষ্ঠ পীতাম্বর এবং মুকুট শোভিত অঙ্গবালা আদিভুত পঞ্চ মুখ হনুমান কে আমি নিরন্তর স্মরণ করি । হে হনুমান আপনি বানরাধিপতি মহান আপনি আমার সমস্ত শ্ত্রুনাশকারি , আপনি আমাকে রক্ষা করুন , সমস্ত বিপত্তি থেকে আমাকে রক্ষা করুন ।
Friday, 20 October 2017
হনুমান সাধনা
গরুড় বলিলেন দেবাদিদেব ভগবান প্রিয় হনুমান জী কে যেমনভাবে ধ্যান পুজা করেছিলেন সেটাই আমি নিবেদন করছি , সাবধান পূর্বক শুন । মহাভয়ঙ্কর পাঁচ মুখ তথা পনেরো চোখবালা ভক্তের সমস্ত অভীষ্ট পূর্ণ করতে সক্ষম দশ বাহু যুক্ত পঞ্চ বক্ত্র হনুমানের স্বরুপ । যাতে পূর্ব দিকে মুখবালা কোটি সূর্যের সমান কান্তি এবং ভয়ঙ্কর দাঁত যুক্ত তথা ক্রোধ ভ্রুকুটি দৃষ্টি বালা বানর নামের মুখ আর তার দক্ষিন দিকেমুখের নাম নরসিংহ যে ভয় বিনাশক , অত্যন্ত তেজস্বী শরীর যুক্ত ভয়ঙ্কর তথা মহাঅদ্ভুত । মহাবলবান সর্পের শান্ত করার ক্ষমতাশালি বিষ ভুতাদি নষ্ট করার ক্ষমতাশালি টেরে মুখবালা হনুমান জীর পশ্চিমমুখের নাম গরুড়মুখ । উত্তর দিশার দিকে মুখ নাম সৌকার যে আকাশের মত নীল বর্ণ । তথা পাতাল সিংহ বেতাল আর জ্বরদি রোগ নষ্ট করে । ভয়ঙ্কর দানব দের নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে তথা মহাবল তারকাসুর কে যে মুখ বধ করেছিল বিপ্রশ্রেষ্ঠ । এই হনুমানজী নাম হয়ানন । যে সাধক এই রুদ্ররুপ দয়াসাগর পঞ্চ মুখ হনুমান ধ্যান করে আর শরণাগত হয় তার সমস্ত শ্ত্রু কে শেষ করে দেয় । খড়গ , খট্বাঙ্গ , পাশ অঙ্কুশ , পর্বত মুষ্টি ,কৌমৌদকি , গদা , বৃক্ষ ,তথা কমনডুল , ভিন্দিপাল, অস্ত্র ধারন কর্তা , দশ জ্ঞান মুদ্রাধারন প্রদর্শনকারি , সমস্ত আভরণধারি সুশোভিত , প্রেতাসনে বসে , দিব্যমালা এবং দিব্য গন্ধধারী চারদিকে মুখবালা আশ্চর্যকারি হনুমান কে ধ্যান করি । বিচিত্র বর্ণ চন্দ্র দ্বারা সুশোভিত মস্তকবালা কবি শ্রেষ্ঠ পীতাম্বর এবং মুকুট শোভিত অঙ্গবালা আদিভুত পঞ্চ মুখ হনুমান কে আমি নিরন্তর স্মরণ করি । হে হনুমান আপনি বানরাধিপতি মহান আপনি আমার সমস্ত শ্ত্রুনাশকারি , আপনি আমাকে রক্ষা করুন , সমস্ত বিপত্তি থেকে আমাকে রক্ষা করুন ।
Subscribe to:
Posts (Atom)